স্বাধীনতার ৫২ বছরেও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। তিনি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৩নং পরকোট ইউনিয়নের উত্তর রামদেবপুর ঘাসি বাড়ির মরহুম সামছুল হকের ছেলে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি এপ্রিল মাসে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে চলে যান। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের অধিনে সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। গ্রুপ কমান্ডার জয়নুল হক চৌধুরী’র (সাকী) নেতৃত্বে জীবন ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান।
১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর রাতে এক মরণপন যুদ্ধে শত্রু পক্ষের গুলিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদুল্লাহ গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ভারতের আগরতলার বিশ্রামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ১ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেই হামলায় তিনি ডান কানে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে চিরতরে ডান কানের শ্রবণ শক্তি হারান। আজও তিনি ডান কানে কোন কিছু শুনতে পান না। সেই রাতের পাকবাহিনীর হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেহ উদ্দিন (কচি) শহিদ হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদুল্লাহ আবেগ কন্ঠে জানান, তিনি যুদ্ধে চিরতরে ডান কানের শ্রবণ শক্তি হারিয়েও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেও রাষ্ট্র কর্তৃক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন। মৃত্যুর আগে রাষ্ট্র কর্তৃক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।