গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট । এরই সাথে ঐ ইউনিয়নের কাশিপুর কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ২ রকম কেন? এবং তা কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল জারি করা হয়। নির্বাচন কমিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহম্মদ ও কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই জানুয়ারী এই ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইয়েদ আহমদ (চশমা) প্রতীক অভিযোগ করেন, নির্বাচনে ১০ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফলের কাগজ অনুযায়ী তিনি চশমা প্রতীকে ৪৫৯১ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নৌকা প্রতীকের সামছুল আলমকে ২৮০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বিজয়ী হন। এতে কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি (চশমা) প্রতীকে পেয়েছেন ২১০ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্ধী নৌকায় প্রার্থী মো.সামছুল আলম পেয়েছেন ১২৭১ ভোট। অপর প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক দুলাল (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ১৯৫ ভোট । প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত তার এজেন্টকে দেয়া ফলাফল সিটে এই তথ্য রয়েছে। পরবর্তীতে যুবলীগ-আওয়ামীলীগের কর্মীরা মিডিয়া কর্মীদের জোর পূর্বক বের করে দিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার এবিএম নোমানকে দিয়ে এই কেন্দ্রের ফলাফল কাটা ছেড়াঁ (ওভারাইডিং) করে চশমা প্রতীকে ২১০ ভোটের স্থানে ১১০, মোটর সাইকেলের প্রতীকে ১৯৫ ভোটের স্থানে ৯৫ ভোট । অপর দিকে নৌকার প্রাপ্ত ভোট ১২৭১ এর স্থানে ১৪৭১ লিখে জমা দেয়। বেআইনিভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা অম্বরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবিএম নোমান ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো.বরকত উল্যাহ এর যোগসাজশে কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সকল প্রার্থীর ভোটকে কাটা ছেড়া করে পরিবর্তনের পর রাত সাড়ে দশটায় প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মো.সামছুল আলমের নৌকা প্রতীককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলাফল পাল্টে দেওয়ার বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করে কোন সন্তষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সাইয়্যেদ আহম্মদ (চশমা প্রতীকে) হাইকোর্টে গত ৮জানয়ারী একটি রিট দাখিল করেন। ঐ রিটের শুনানী শেষে আদালত নির্বাচন কমিশনার সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ১০জনের উপর রুল জারি করেন কেন ফলাফল বাতিল হবে না মর্মে। এর সাথে সাথে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত ফলাফলে গেজেট প্রকাশ স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
мнительность
happy