নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া (বর্তমান এমপি) মোরশেদ আলমের অনুসারীরা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের অনুসারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে সেনবাগ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এতে সেনবাগ থানা পুলিশের একজন এএসআই, সাংবাদিক সহ ৫ জন আহত হয়েছে।
সেনবাগ থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় থানার এএসআই মোঃ কাউছার আহত হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উভয়পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে সেনবাগ থানার এএসআই মো. কাউছার ইটের আঘাতে আহত হন। একই সময় সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন আরটিভি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী। তারা দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম রাজিব জানান, দুইজন সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীর সমর্থকেরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তবে এসময় পুলিশের একজন এএসআই আহত হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেওয়ার পর গোটা নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসব দেখা দেয়। এতে হতাশ হয়ে মোরশেদ আলম তার অনুসারীদের দিয়ে এলাকায় বোমাবাজি করে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তারা পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক সহ তাঁর ৩ কর্মীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে আহত করেছে।
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, তিনি তাঁর অনুসারীদের শান্ত থাকার জন্য বলেছেন ।