নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে বড়-ছোট অনেক গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়া কাঁচা ঘর-বাড়ির চাউনি উড়িঁয়ে নিয়ে গেছে এতে বহু পরিবারের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী আবিদ রহমানের চাটখিল পৌরসভার ছয়ানীটবগায় এলাকার আধাঁ পাকা বসত ঘরে গাছ ভেঙ্গে পড়ে বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। দীর্ঘ ২৬ঘন্টা পর মঙ্গলবার বিকেলে দুই উপজেলা সদরে বৈদ্যুতিক লাইনে বিদ্যুৎ সেবা সচল হলেও অন্য কোন লাইনে এখনো বিদ্যুৎ সেবা সচল হয়নি। এরফলে মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের বাহিরে রয়েছে। চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. মহিউদ্দিন মোশাহেদুল্লাহ জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতে কাজ করছে। কাজ শেষ হলে দ্রুত সকল লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা যাবে।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া ও সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন এসব ক্ষতির কথা স্বীকার করে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।