আজ- শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১     

 আজ -শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪  | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬                                                   সকাল ৯:০৮ - মিনিট |

 

Homeঅর্থ ও বাণিজ্যচাটখিলে ব্যবসায়ীদের মনগড়া দামে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: দেখার কেউ নেই

চাটখিলে ব্যবসায়ীদের মনগড়া দামে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: দেখার কেউ নেই

রুবেল হোসেন (পূর্বশিখা ডেস্ক) রিপোর্টঃ 

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ও পৌর শহরে ঘুরে খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় পাইকারী ব্যবসায়ীদের মনগড়া দামে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছে পণ্য পরিবহনে হরতাল-অবরোধের কোন প্রভাব না পড়লেও চাটখিল পৌর শহরের সুমন স্টোর, হাজী স্টোর সহ বিভিন্ন পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি করছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির কোন সুনির্দিষ্ট কারণ জানাচ্ছে না এসব পাইকারী ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের অভিযোগ পাইকারী পর্যায়ে এক টাকা দাম বাড়লেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০টাকা বাড়িয়ে দেয়।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে চাটখিল পৌর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা মূল্যে (প্রতি কেজি) পেয়াজ ১০০-১২০টাকা, রসুন ১৮০-২২০টাকা, আলু ৬০-৭০টাকা, কাচা মরিচ ২৮০-৩০০টাকা, টমেটো ১২০টাকা, ফুলকপি-১২০টাকা, বেগুন ১০০টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, হাড়সহ গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৮০০-৮৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী মূল্যে (প্রতি কেজি) পেয়াজ ৯৫-১০০টাকা, রসুন ১৪০-১৬০টাকা, আলু ৫০-৫৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে চাহিদার অতিরিক্ত পণ্য সামগ্রী থাকলেও দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোন কারণ খুচরা ব্যবসায়ীরা জানাতে পারেনি। পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করেই যেন দায়সাড়া। অনুসন্ধানে দেখা যায় পণ্যের সংকট না থাকলেও ক্রেতার সংকট রয়েছে। বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়। ক্রেতারা অনেকেই জানান, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রয়োজনীয় ভোগ পণ্য ক্রয় করতে পারছে না। সীমিতভাবে ক্রয় করে কোনমতে জীবনযাপন করছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বাজার মনিটরিং করলে ব্যবসায়ীরা মনগড়া দাম বৃদ্ধি করতে পারবে না বলেও অনেক ক্রেতা জানান।

খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাটখিল পৌর বাজারের পাইকারী বিক্রেতা সুমন স্টোরের মালিক সুমন হোসেনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি খুচরা ব্যবসায়ীদের চড়-থাপ্পড় দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়ার মুঠো ফোনে বুধবার দুপুরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি ফেনী ও নোয়াখালী দুই জেলার দায়িত্বে থাকায় সকল উপজেলা মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে না পারলে পরবর্তীতে তিনি চাটখিলে অভিযান পরিচালনা করবেন।

রিলেটেড আর্টিকেল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ

রিসেন্ট কমেন্টস