নোয়াখালীর চাটখিলে সরকার দলীয় ক্যাডাররা পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি’র সভা মঞ্চ ভাংচুর করে তছনছ করে দিয়েছে। এসময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড় হয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করলে সরকার দলীয় ক্যাডাদের হামলায় বিএনপি’র ৪ নেতা গুলিবিদ্ধ সহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করে।
জানা যায়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চাটখিল উপজেলা বিএনপি শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে চাটখিল আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগে জুমার নামাজের পর পরই সরকার দলীয় ক্যাডাররা মিছিল নিয়ে এসে পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি’র সভা মঞ্চ ভাংচুর ও ব্যানার-ফেস্টুন আগুন লাগিয়ে পুঁড়িয়ে দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ তছনছ করে দেয়। এসময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক নয়া বঙ্গবাজার পত্রিকার সম্পাদক নুর আলম ঐ ক্যাডারদের হাতে শারীরিক লাঞ্চিত হন।
চাটখিল পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব আহছানুল হক মাসুদ জানান, সরকার দলীয় ক্যাডারদের তান্ডবে বিক্ষোভ সমাবেশ পন্ডু হয়ে যাওয়াতে স্থানীয় বিএনপি এক প্রতিবাদ মিছিল বের করে। ঐ মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হেলমেট ও মুখোসধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করে। এতে উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এডভোকেট আবু হানিফ, চাটখিল পৌর সভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ওমর ফারুক গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া সরকার দলীয় হেলমেট ও মুখোসধারীদের হামলায় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। পরে হালিমা দিঘীরপাড়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মামুনুর রশিদ মামুন এর উপস্থিতিতে এক সংক্ষিপ্ত সভায় এ্ই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় তারা। তিনি আরো জানান, পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপি’র এই সভাকে পন্ডু করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি’র ৪ নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ব্যাপারে চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ভাংচুরের বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে ৪ নেতা কে নাশকতা এড়াতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
Сериалы
2016
пацаны сериал смотреть