নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মধ্য শোশালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম কে তার প্রতিপক্ষ পুলিশ কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে নাশকতার মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানির শিকার ঐ শিক্ষক নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম চাটখিল প্রেস ক্লাবে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তার দেওয়া অভিযোগের কপি সরবরাহ করেন। অভিযোগে জানা যায়, তিনি তার হয়রানির বর্ননা দিয়ে হয়রানি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করে গত বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এঅভিযোগে জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালে পরকোট ইউনিয়নের সরু বাড়িতে একটা ঘটনা ঘটে ঐ ঘটনায় এই মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় তিনি কোন এজহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। এই ঘটনায় তার প্রতিপক্ষ তৎকালিন থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে চার্জশীটে তার নাম অন্তভূক্ত করায়। গত ১২/৬ তারিখে তার এলাকার গ্রাম পুলিশ তাকে জানান, চাটখিল থানার কর্মরত এসআই জাকির তাকে থানায় যেতে বলছেন। পরবর্তীতে তিনি থানায় গেলে জাকির তাকে বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতের ১৭৮/২০১৫ নং মামলায় ওয়ারেন্ট আছে জানিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। দীর্ঘ দেড় মাস কারাভোগ করে তিনি জামিনে মুক্তি নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বিগত ২০১৫ সালে ঐ মামলা হওয়ার কিছুদিন পর চাটখিল থানার তৎকালীন এসআই ডালিম উদ্দিন মজুমদার তার এলাকায় মামলার মূল আসামী সুমন ওরফে নাতি সুমননের নানার বাড়িতে খোঁজ করতে যান। নাতি সুমনের বাড়ি রামগঞ্জ থানাধীন করপাড়া গ্রামে। তখন ডালিম উদ্দিন মজুমদার তাকে বলেন, আপনার নামেও অভিযোগ রয়েছে। আপনি পরিচয়পত্র নিয়ে থানায় আসেন। পরে তিনি থানায় যাওয়ার পর ডালিম উদ্দিন তাকে এজহারের কপি না দেখাইয়া তার নাম এজহার থেকে কাটিয়ে দিবে বলে তার নিকট থেকে প্রতারনার মাধ্যমে ৪হাজার টাকা আদায় করে নেন। তিনি ঐ প্রতারক ডালিম উদ্দিন সহ পুলিশের যেসকল কর্মকর্তারা তার প্রতিপক্ষদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে এই মামলায় অন্তভুক্ত করেছেন তাদের বিচার দাবি ও তাকে ঐ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে চাটখিল থানার তৎকালীন এসআই বর্তমানে চরজব্বর থানায় কর্মরত ডালিম উদ্দিন মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অভিযোগের বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির কথা জানিয়ে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
site