জরিপের ফলকে আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের উচিত হবে অতি দ্রুত ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সমস্যার স্বরূপ বিশ্লেষণ জরুরি। করোনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সমস্যাগুলো ২ ভাগে দেখা যেতে পারে। প্রথমত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বের অনিশ্চয়তা; দ্বিতীয়ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরের বাস্তবতা। আলোচনায় দেখা যায়, ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে জনমত ছিল বেশ তীব্র। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, নীতিনির্ধারক সর্বমহলেই জীবন বাঁচানোকেই অগ্রাধিকার বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের অনেকেই এক কাপড়ে হল ছাড়েন। তাঁরা তাঁদের পাঠ্যবই, কম্পিউটার, নোট, খাতাপত্র—তেমন কিছুই সঙ্গে না নিয়ে যে যাঁর মতো গ্রামে, নিজের বাড়ি বা আত্মীয়স্বজনের কাছে চলে যান।
শুরুতে কেউ ধারণা করতে পারেননি যে করোনার কারণে ঠিক কত দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অনেকেই মনে করেছিলেন করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়তো কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। কিন্তু সর্বমহলের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত করে করোনাকালের ব্যাপ্তি শুধু দীর্ঘায়িত হতে থাকে। প্রথমদিকে মানুষ জীবন বাঁচানোকে গুরুত্ব দিলেও সময়ের পরিক্রমায় অপরাপর কলকারখানা, ব্যাংক-বিমা, গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে ধীরে ধীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি বিবেচনায় আসে।
নানাদিক বিবেচনায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় সায় না দিলেও দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের বিষয়টি নৈতিকভাবে সমর্থন ও উৎসাহিত করে। অপরাপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে থেকে অনলাইনে পাঠদান শুরু হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা শুরু হতে জুলাই নাগাদ লেগে যায় এবং সেখান থেকেই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সমস্যার শুরু হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মনে করতে থাকে যে তাঁরা চাকরির বাজারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারা কোন সময়ে ক্লাস শুরু করল, পরীক্ষা নিল, ফল প্রকাশিত হলো, কে কোথায় চাকরি পেল বা চাকরি হারাল—সবই আজ উন্মুক্ত। তাই একই সেশনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের আশা এবং হতাশার চিত্র বিচিত্ররূপে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়াতে থাকে।
করোনার সময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস শুরুর প্রাক্কালে আমাদের গ্রাম ও শহরভিত্তিক বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য ভৌত অবকাঠামোর আকাশ-পাতাল বৈষম্য ও দৈন্যদশা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। অনেক আশা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ধীরে ধীরে উৎসাহে ভাটা পড়তে দেখা যায়। কারণগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকা, ইন্টারনেটের ধীর গতি, মোবাইলে নেটওয়ার্ক না পাওয়া, গ্রামে ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত পড়ার পরিবেশের অভাব ছেলেমেয়েদের মধ্যে হীনমন্যতার জন্ম দেয়। গ্রাম বা মফস্বলের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের অনেকের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ না থাকার কারণেও ক্লাস করতে পারেননি। তখন শহর এবং পূর্বে হলে থাকত কিন্তু করোনার সময় গ্রামে চলে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের শ্রেণি বৈষম্য প্রকটভাবে আত্মপ্রকাশ পায়। অনলাইনে পড়াশোনার ধরনেও পরিবর্তন আসায় গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা শহরের ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় স্পষ্টত পিছিয়ে পড়ে এবং মানসিক সমস্যায় পতিত হয়।
করোনাকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকা, ইন্টারনেটের ধীর গতি, মোবাইলে নেটওয়ার্ক না পাওয়া, গ্রামে ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত পড়ার পরিবেশের অভাব ছেলেমেয়েদের মধ্যে হীনমন্যতার জন্ম দেয়। গ্রাম বা মফস্বলের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের অনেকের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ না থাকার কারণেও ক্লাস করতে পারেননি। তখন শহর এবং পূর্বে হলে থাকত কিন্তু করোনার সময় গ্রামে চলে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের শ্রেণি বৈষম্য প্রকটভাবে আত্মপ্রকাশ পায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বে অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়ার কথা আলোচনায় আসতেই ভিন্ন এক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ছাত্র-শিক্ষক উভয় মহলকেই। একদিকে অবকাঠামোর সমস্যা সমাধানে কোনো কোনো মহলের সহায়তার আশ্বাস থাকলেও তা সেভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। অন্যদিকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণে গুণগত মান প্রতিপালনের নিশ্চয়তা ঝুঁকির মুখে পড়ে। দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষার মডিউল তৈরি করতে না পারায় ‘সবার জন্য সমান সুযোগ’ তৈরি করা যায়নি। কুইজ, মিডটার্ম ইত্যাদি পরীক্ষাতেও অনেক ছাত্রছাত্রী নির্ধারিত সময়ে তাঁদের উত্তরপত্র জমা দিতে পারতেন না। এতে করে যাঁরা সময়মতো উত্তরপত্র জমা দিতে পারতেন না, তাঁরা নানামুখী উদ্বিগ্ন ও বিষণ্নতায় ভুগতে থাকেন। সে রকম পরিস্থিতিতে ফাইনাল পরীক্ষা হলে অনলাইন পরীক্ষা পদ্ধতি এবং কীভাবে উত্তরপত্র জমা দেওয়া হবে, সময় পাবেন কি না, এসব ভেবে ছাত্রছাত্রীরা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হন।
করোনার সময় শহর ছেড়ে গ্রামে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের অনেকে আর্থিক সমস্যায়ও পতিত হন। শহরকেন্দ্রিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অনেকে খণ্ডকালীন চাকরি, প্রাইভেট-টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ চালান। করোনার থাবা দীর্ঘায়িত হতে থাকায় ছাত্রছাত্রীরা হলে ফিরতে পারেননি, অনেকেরই টিউশনি চলে যায়। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা এসব ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সমস্যার অন্যতম কারণও এটি।
২০২০ সালের শেষের দিকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় অনার্স শেষ বর্ষ এবং মাস্টার্সের পরীক্ষা সশরীর নেওয়ার সিদ্ধান্ত এলেও তা সার্বিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি করোনা বেড়ে যাওয়ায়। ঠিক একইভাবে ২০২১ সালেও বেশ কয়েকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সময় ঘোষণা করেও পরে পিছিয়ে আসতে হয়। সবশেষ চলতি মাসের প্রথমদিকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া ও সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ঘোষণাও একের পর এক আসতে থাকে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাজট ও সেশনজট তেমন না থাকলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমস্যা প্রকট। আবাসিক হল খোলার আগে ও পরে অনেক বিভাগ ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। পরীক্ষার পদ্ধতি, প্রশ্নের ধরন, পূর্ণমান ও সময়ের ক্ষেত্রেও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে। যেমন, পূর্ণমান ঠিক রেখে সময় কমানো, অথবা সিলেবাস পরিমার্জন ইত্যাদি। এসবের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে গেলেও সমস্যা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের অনভ্যস্ততা।
একদিকে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে এবং বসতে হবে—এরূপ বাস্তবতা ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। এ যেন ছাত্রছাত্রীদের কাছে উভয়সংকট। তাঁরা চাচ্ছেন ক্লাস শেষ করার পাশাপাশি পরীক্ষা গ্রহণ করে দ্রুত ফল প্রকাশিত হোক। এতে তাঁরা দ্রুত চাকরির বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে নিজেদের প্রস্তুত করবেন এবং চাকরিতে আবেদন করতে চান। অন্যদিকে একাধারে একাধিক সেমিস্টার বা বর্ষের পরীক্ষায় বসতেও তাঁদের বেশ কষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিবর্তিত নিয়মের অনভ্যস্ততা তো রয়েছেই। অনেক ছাত্রছাত্রী আবার যেহেতু এক বছরের বেশি সময় পর আবাসিক হলে উঠেই পরীক্ষায় বসছেন, তাই তাঁদের অনেকেরই পরীক্ষার প্রস্তুতির ঘাটতি লক্ষণীয়। তাই তাঁরা পরীক্ষায় বসলেও তাঁদের পরীক্ষার ফল কেমন হবে, সে চিন্তায়ও ভুগছেন। কারণ, বাস্তবতা হলো ভালো ফল না হলে অনেকেরই চাকরিতে আবেদনের যোগ্যতা থাকবে না।
করোনার এ সময় অভিভাবকদের উচিত হবে ছাত্রছাত্রীদের আর্থসামাজিক চাপ প্রয়োগ না করে সত্যিকার অর্থে সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করা। মনে রাখতে হবে ছাত্রছাত্রীরা শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ থাকলেই কেবল তাঁরা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষাজীবন শেষে ভালো ফল নিয়ে স্ব স্ব কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারবেন।
উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক হল খোলা হলেও ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়েও মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকতে পারেন। একে তো দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো জেঁকে বসেছে মহামারি করোনার অভিঘাত। সমাজের অপরাপর শ্রেণির মতো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও দেখছে কীভাবে সমাজে বেকারত্ব বাড়ছে এবং কীভাবে অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন। বেকারত্বের ভয়াল চেহারা চাকরি প্রত্যাশী ছেলেমেয়েদের মানসিক যন্ত্রণার যে অন্যতম কারণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপে এও দেখা গেছে যে নারী শিক্ষার্থীরা বেশি মানসিক যন্ত্রণার শিকার। তার যথার্থ কারণও আছে বৈকি। আমাদের প্রচলিত সমাজ বাস্তবতায় এমনিতেই ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি।
প্রশ্ন হলো, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক যন্ত্রণা লাঘবের কোনো পথ খোলা আছে কি? আপাত কঠিন হলেও বেশ কিছু পথই খোলা আছে। প্রথমত, আমাদের এটি মেনে নিতে হবে যে করোনা মহামারি আমাদের জীবন থেকে দুটি বছর কেড়ে নিয়েছে। অতীতে করোনার মতো শক্তিশালী কোনো মহামারি আমাদের জাতীয় জীবনে না এলেও স্মরণ করা যেতে পারে, মুক্তিযুদ্ধকালে নাতিদীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার বিষয়টি। রাজনৈতিক বিরূপ পরিস্থিতি, হরতাল-ধর্মঘট, বন্যা ইত্যাদি কারণেও অতীতে শিক্ষাজীবনে সেশনজট ছিল এবং একটা সময় এসে আমরা এসব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে পেরেছি। দ্বিতীয়ত, চাকরির বাজারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর সমন্বয় সাধন করতে হবে। করোনা-পরবর্তী সময় নিয়োগকর্তাদের উচিত হবে একসঙ্গে সবাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ধাপে ধাপে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া। সরকারি-বেসরকারি সব খাতের নিয়োগ কর্তাদের এরূপ সময়োপযোগী ‘ধীরে চল নীতি’ ছাত্রছাত্রীদের মনে আশার সঞ্চার করবে। এতে ছাত্রছাত্রীদের কিছুদিন আগে বা পরে পরীক্ষা হলেও একই সেশনের সবাই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া হলেও অসামঞ্জস্যতা দূর হবে ও মানসিক যন্ত্রণার লাঘব হবে।
তৃতীয়ত, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোনো শারীরিক সমস্যা হলে কয়েক দিনের ওষুধ একসঙ্গে খাওয়া যায় না এবং তা করলে হিতে বিপরীত হয়। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের এ চরম বাস্তবতা বিবেচনায় রাখতে হবে। আর ছয় মাসের পড়াশোনা তিন মাসে, ১৫ দিনের পরীক্ষা ৫ দিনে নেওয়ার মতো অতি আবেগী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। একই ক্লাসে অধ্যয়ন করলেও মেধা ও সামর্থ্য বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের রকমফের আছে। সবার কথা বিবেচনা করে ক্লাস-পরীক্ষা ও এ-সম্পর্কিত নিয়ম ঠিক করলে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সমস্যা কমবে।
চতুর্থত, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামোর উন্নতি সাধন করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম, গেস্টরুম, র্যাগিংয়ের অপসংস্কৃতি চিরতরে দূর করা এবং ছাত্রছাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে, সে জন্য উপযুক্ত ও বিশ্বমানের প্রযুক্তি সংবলিত আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সমস্যা অনেকাংশে দূরীভূত হবে।
সর্বোপরি, অভিবাদক মহলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। করোনার এ সময় অভিভাবকদের উচিত হবে ছাত্রছাত্রীদের আর্থসামাজিক চাপ প্রয়োগ না করে সত্যিকার অর্থে সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করা। মনে রাখতে হবে ছাত্রছাত্রীরা শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ থাকলেই কেবল তাঁরা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষাজীবন শেষে ভালো ফল নিয়ে স্ব স্ব কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারবেন।
ড. শহীদুল জাহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষক
levitra from canadian pharmacy prescription cost comparison
963
оплот
опосредованный
Все серии сезоны
2275
карточный домик сериал
site