আজ- শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১     

 আজ -শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪  | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ | ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬                                                   সকাল ১০:৩৮ - মিনিট |

 

Homeরাজনীতিআদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিএনপি নেতার মার্কেট ভাঙলেন কাদের মির্জা

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিএনপি নেতার মার্কেট ভাঙলেন কাদের মির্জা

আকস্মিকভাবে মার্কেটে ভাঙচুর শুরু করায় কমপক্ষে ১২ জন ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু মেয়র ও তাঁর লোকজনের ভয়ে ব্যবসায়ীদের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জানতে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ওই মার্কেট না ভাঙার জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়টি থানা-পুলিশের একটি দল কাদের মির্জাকে অবহিত করেছে। এই বিষয়ে পুলিশের যা করণীয়, পুলিশ তা–ই করেছে বলে তিনি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা ও তাঁর শতাধিক অনুসারীর উপস্থিতিতে পৌরসভার কর্মচারী ও শ্রমিকেরা বসুরহাটের জিরো পয়েন্ট-নিত্যানন্দমোড় এলাকার ওই মার্কেটের খাল পাড় অংশের প্রায় ১০ ফুট অংশ ভাঙা শুরু করে। ১৯৯৯ সালে আবদুল হাই ওরফে সেলিমের পারিবারিক প্রায় ১৬ শতাংশ জমির ওপর মার্কেটটি নির্মাণ করা হয় বলে জানা গেছে।

বেলায়েত হোসেন জানান, ভাঙা শুরু হওয়ার পর তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে মুঠোফোনে অবহিত করেছেন। তাঁরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেও দুপুর পর্যন্ত মার্কেট ভাঙা অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র জানায়, মেয়র লোকজন নিয়ে আকস্মিকভাবে মার্কেটে ভাঙচুর শুরু করায় কমপক্ষে ১২ জন ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু মেয়র ও তাঁর লোকজনের ভয়ে ব্যবসায়ীদের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। অনেকে নিরুপায় হয়ে কিছু মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

আবদুল হাই সেলিমের ছোট ভাই বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের মার্কেটটি সরকারি জায়গায় পড়েছে দাবি করে ২০২০ সালের প্রথম দিকে কাদের মির্জা তাঁদের একটি চিঠি দেন। ওই চিঠির বিরুদ্ধে তাঁরা জেলা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। পরে ওই বছরের ৪ মার্চ আদালত থেকে মার্কেটের বিষয়ে ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখার জন্য আদেশ জারি করা হয়। ওই আদেশ এখনো বলবৎ রয়েছে। এরই মধ্যে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কাদের মির্জা দলবল নিয়ে মার্কেট ভাঙা শুরু করেছেন।

বেলায়েত হোসেন জানান, ভাঙা শুরু হওয়ার পর তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে মুঠোফোনে অবহিত করেছেন। তাঁরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেও দুপুর পর্যন্ত মার্কেট ভাঙা অব্যাহত রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের এক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘুরেফিরে চলে আসেন বলে তিনি দাবি করেন।

এগুলো তাঁর (কাদের মির্জার) পৌরসভার বিষয়। তিনি পৌরসভা থেকেই এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর সঙ্গে দলীয় সম্পর্ক নেই।

মো. ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগ

এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে প্রতিবারই তাঁর নম্বর ব্যস্ত পাওয়া যায়। মার্কেট ভাঙার অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর মুঠোফোনে একটি খুদে বার্তা পাঠানো হয়। তবে কাদের মির্জা খুদে বার্তার কোনো জবাব দেননি। তাই এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে কাদের মির্জাঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলীয় বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কাদের মির্জার সঙ্গে আমার কথা হয় না। এগুলো তাঁর (কাদের মির্জার) পৌরসভার বিষয়। তিনি পৌরসভা থেকেই এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর সঙ্গে দলীয় সম্পর্ক নেই।’

রিলেটেড আর্টিকেল

15 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ

রিসেন্ট কমেন্টস