নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক কে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী পৌরসভার ইসলামিয়া রোডের নিজ বাসা থেকে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এদিকে দুপুরে মাইজদী কোর্ট এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক কামাল কে গ্রেফতার করে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জামায়াত সেক্রেটারী নাজিম উদ্দিন ফারুককে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বেগমগঞ্জ থানার একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবার বিকেলে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এই ঘটনায় নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ইসহাক খন্দকার বলেন, সকালে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ফারুককে পুলিশ তার নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে তিনি সব মামলায় জামিনে আছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার অন্যায় ভাবে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আমােদের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করছে।
অপরদিকে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আনোয়ারুল হক কামালকে গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বিকেলে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নোয়াখালীতে গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এসব গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবি জানান।