নোয়াখালীর চাটখিল পৌর শহরের পুঙ্গ রিকশাওয়ালা জামাল হোসেনের নাম ভাঙ্গিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার মামলায় আদালতের নির্দেশের ১বছর ২মাসেও চাটখিল থানা পুলিশ তদন্ত রির্পোট দেয়নি। এসুযোগে মামলায় অভিযুক্ত আলাউদ্দিন আমেরিকায় ও সাইফুল ইসলাম রিয়াদ ইন্ডিয়ায় পালিয়ে গেছে। মামলার বাদী জামালের পরিবার দাবী করছেন থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরের সহযোগিতায় আসামীরা পালিয়ে গেছে এবং তিনি সঠিক তদন্ত রির্পোট না দিলে ন্যায় বিচার পাওয়ারও আশঙ্কা করছে তারা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের পুঙ্গ রিকশা চালক জামাল হোসেনের ছবি ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের নামে ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রচার করা হয়। এসব প্রচার করে চাটখিল পৌর শহরের সুন্দরপুর তফাদার বাড়ির মৃত. মোহাম্মদ আলী তফাদারের ছেলে আলাউদ্দিন ও একই এলাকার বড় বাড়ির ফুটপাতে ফল বিক্রেতা শাহ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম রিয়াদ। তাদের প্রচারণায় দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ রিকশা চালক পুঙ্গ হওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনা করে বিপুল অংকের অর্থ সহযোগিতা করে। এতে আলাউদ্দিন ও রিয়াদ রিকশা চালক জামাল কে একটি পুরাতন রিকশা কিনে দেয় ও নগদ ৫০হাজার টাকা কয়েক ধাপে দিয়েছিল। তখন তারা তাদের কাছে জমা থাকা কয়েক লাখ টাকায় জমি কিনে বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন ও রিয়াদ পুঙ্গ রিকশা চালক জামাল কে জমি কিনে বাড়ি করে না দেওয়ায় জামাল বার-বার তাদের কাছে টাকা দাবি করে। পরিশেষে টাকা না পেয়ে জামাল নোয়াখালীর আদালতে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল মামলা দায়ের করে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে ঐ দিনেই পুলিশ কে মামলার তদন্ত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে চাটখিল থানার তৎকালীন ওসি মো. আনোয়ার হোসেন মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির কে। হুমায়ান কবির বিভিন্ন সময়ে মামলা আসামীদের সাথে চাটখিল বাজারে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরায় আড্ডা দিতেও দেখা গেছে। এই ব্যাপারে মামলার বাদী জামালের পরিবার জানান, তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের কাছে বারবার তদন্ত রির্পোট দিতে অনুরোধ করা হলেও তিনি তদন্ত রির্পোট দেননি। ইতোমধ্যে মামলার আসামীরা তাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে।
এই ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করে তার বিরুদ্ধে রিকশা চালকের পরিবারে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি এসব অভিযোগ তোয়াক্কা করি না। মামলার তদন্ত রির্পোট ১বছর ২মাসেও কেন দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি কোন স্বদুত্তর দিতে পারে নাই।
2296
декамерон китоби узбек тилида