পূর্বশিখা রির্পোট:
গত দেড় মাসে নোয়াখালীর চাটখিলে অজ্ঞান পার্টির ও প্রতারক চক্রের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় তাদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন মানুষজন। এরা বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের টার্গেট করে কাউকে অজ্ঞান করে আবার কাউকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গত রোববার দুপুরে চাটখিল ভূমি অফিসের সামনে থেকে দরবেশ সেজে এক প্রতারক নোয়াখলা গ্রামের দত্তের বাড়ির কবির হোসেনের স্ত্রী সুমি বেগম (৩৮) কে দোয়া করে দিবে বলে তার হাতের ৩ভরি ওজনের ২টি ছুড়ি খুলে নেয় ও নগদ ৭০০ টাকা নিয়ে দরবেশ বাবা কৌশলে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে গত ২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে একই স্থানের একটি চা দোকানে সুন্দরপুরের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে নেশা দ্রব্য শুকিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৩০হাজার টাকা নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, দশঘরিয়া বাজার থেকে গত ২৬অক্টোবর দুপুরে সিএনজি করে চাটখিল আসার পথে গৃহবধুকে নেশা জাতীয় দ্রব্য শুকিয়ে অজ্ঞান করে তার সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং তাকে পথিমধ্যে মুন্সিরাস্তায় সিএনজি থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে রেখে চলে যায় ঐ সিএনজি গাড়িটি। গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার নোয়াখলা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ওমর ফারুক (৭৫) চাটখিল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫০হাজার টাকা উত্তোলন করে বের হওয়ার পর তাকে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা অজ্ঞান করে ৫০হাজার টাকা নিয়ে যায়। এছাড়াও উপজেলার খিলপাড়া, শাহাপুর-সোমপাড়া, দশঘরিয়া সহ বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটার অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন গত দেড়/দুই মাসে এমন বহু ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত অজ্ঞান পার্টি চক্রের কোন সদস্যকে গ্রেফতার করেননি।
এই ব্যাপারে চাটখিল থানার ওসি মো. আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় ৩টি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
227
секис
Новый сезон
797
бездомный оказался с другой планеты с суперсилой
site