নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় বায়ু দূষিত হয়ে বাতাসে রোগবালাই ছড়াচ্ছে। ময়লার গন্ধে দূষিত হচ্ছে বায়ু, পরিবশে ও বাতাস। এতে স্থানীয়দের মাঝে রোগবালাই বেড়েই চলছে। ঢাকা-রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি সড়কের পৌর শহরের চাটখিল ১১নম্বর পোলের পশ্চিম পাশে সড়কের পাশে পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লার স্তুপ দিয়ে রাখছে এতে পৌরসভাস্থ ২ ও ৭নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের বসবাস করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ময়লার গন্ধে দূষিত বায়ু বাতাস ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা সড়কের উপর মৃত ব্রয়লার মুরগি ও মুরগির বর্জ্য সহ বাজারের ব্যবসায়ীদের বর্জ্য স্তুপ দিয়ে রাখা হয়েছে। এইসব বর্জ্য বৃষ্টিতে সড়কের উপর ও পাশে ব্রীরেন্দ্র খালে গিয়ে পড়ছে। এতে খালের পানি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদুল হাসান, দুলাল হোসেন সহ অনেকে জানান, এসব ময়লার গন্ধে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকি এসব ময়লা। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দূষিত ময়লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে মসজিদ সংলগ্ন ডাস্টবিনে রাখা হয়। ঐ ময়লা পৌর কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বার্ষিক নির্ধারিত ফি যথারীতি পরিশোধ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ময়লা যথাসময়ে সরিয়ে না নেওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগী, ভর্তি রোগী, চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মসজিদের মুসল্লিরা ময়লার গন্ধে সুস্থ্য থাকতে পারছে না। অনেকেই ইতোমধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোশতাক আহমেদ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের। এর জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফি বাৎসরিক ৫লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যথারীতি পরিশোধ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব বর্জ্য অপসারণ যথাসময়ে করছে না। তিনি আরো জানান, এসব বর্জ্য জনসাধারনের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
চাটখিল পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন এসব বর্জ্য জনসাধারনের স্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকির কথা স্বীকার করে জানান দ্রুত এসব বর্জ্য সরিয়ে নেওয়া ব্যবস্থা করা হবে।
Новый сериал
381
бог зафрендил меня