নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামী তাবলীগে-স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও হওয়ার ঘটনায় দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের সোনাইমুড়ি থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ইতালি প্রবাসী মো. হুমায়ুন কবিরের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫টায় নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ছদ্মনামের সামিরা খাতুন (২৩) ও সালমা আক্তারকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সামিরা খাতুন সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রগাঁও গ্রামের মেইকার বাড়ির গোলাম নবীর মেয়ে ও ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী এবং সালমা আক্তার সদর উপজেলা ধর্মপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির আবদুল লতিফের (ছদ্মনাম) স্ত্রী। অভিযানের সময় পরকীয়া প্রেমিক ফারুক হোসেন (৩০) ও তার সহযোগী নাহিদুল ইসলাম (৪৪) পালিয়ে যান। ফারুক সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামের জব্বার আলী মিসাব বাড়ির আবুল কালামের ছেলে ও নাহিদুল সদর উপজেলা ধর্মপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির মৃত খোকন মিয়ার ছেলে।
ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী সামিরার সঙ্গে ফারুকের দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেম ও অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী হুমায়ুন কবির ইতালি থেকে দেশে ফিরে স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করেন। পরে হুমায়ুন কবিরকে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখালে ১২ জুন (রোববার) তিনি সোনাইমুড়ীর একটি মসজিদে তিনদিনের জন্য তাবলীগে যান। এ সুযোগে গত ১৪ জুন (মঙ্গলবার) সামিরা স্বামীর দেওয়া ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক ফারুকের সঙ্গে পালিয় যান। পরে তার স্বামী হুমায়ন কবির থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ র্যাবের সহযোগিতায় ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সোনাইমুড়ি থানায় হস্তান্তর করেন।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত দুই নারী কে শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।