চাটখিল ও সোনাইমুড়ী পৌর এলাকায় যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ না থাকায়, যানবাহন চালক ও যাত্রীদের ঝগড়া -বিবাদ লেগেই আছে যুগযুগ ধরে

0
67
মো: হাবিবুর রহমান:
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা – অনুযায়ী পৌর এলাকায় বিভিন্ন – যানবাহনের ভাড়া নির্ধারন পূর্বক – রাস্তার মোড়ে মোড়ে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার তালিকা প্রর্দশনের নিয়ম থাকলেও নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী পৌর কর্তৃপক্ষ তা করছে না। ফলে যুগ যুগ ধরে পৌর এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন চালকদের সাথে – যাত্রীদের বিরোধ, ঝগড়া, মারামারি এমনকি মামলা মোকাদ্দমাও হয়েছে অনেকবার। অজ্ঞাত কারণে পৌর – কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে নিরব। এবিষয়ে পৌরবাসীদের অভিযোগ হচ্ছে পৌর – কর্তৃপক্ষ যানবাহন চালকদের নিকট থেকে অবৈধভাবে পৌরসভার নামে – চাঁদা আদায়ের সুবিধা নেওয়ার জন্য তা বাস্তবায়ন করছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে চাটখিল – পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠার – ২৮ বছরেও পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর এলাকার বিভিন্ন যানবাহনের ভাড়া – নির্ধারন পূর্বক ভাড়ার তালিকা – দৃশ্যমান স্থানে বিলবোর্ড আকারে – প্রর্দশন করেনি। একইভাবে – সোনাইমুড়ী পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠার ২১ বছরেও এই ব্যবস্থা নেয়নি।
এসময় দুই পৌরসভার দায়িত্বে থাকা মেয়রগণ অনেকেই এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা দিয়েও কেউ কথা রাখেনি। এতে করে দুই পৌর এলাকায় যানবাহন চালকেরা সময় সুযোগ বুঝে নিজেদের ইচ্ছামত যাত্রীদের নিকট হতে অধিক ভাড়া আদায় করে থাকে। এব্যাপারে যাত্রীরা যানবাহন চালকদের সাথে কথা বললে বা প্রতিবাদ করলে অনেক চালক যাত্রীদের উপর চড়াও হয়ে প্রতিনিয়ত হাতাহাতি এমনকি মারামারির ঘটনাও ঘটিয়ে থাকেন। চালকেরা বলে থাকে, আমরা প্রতিদিন পৌরসভাকে চাঁদা দিতে হয় তাই আমাদেরকে বেশি ভাড়া নিতে হয়। চালকদের অনেকে আরো বলে, ভাড়ার তালিকা থাকলে আমরা তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নিতে বাধ্য থাকতাম। এসব সমস্যার কারণে বিভিন্ন সময়ে পৌরসভাগুলোর মেয়র ও কাউন্সিলরদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের হলেও তারা দায়সারা গোছের ব্যবস্থা নিবে বলে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে পৌরসভার নামে প্রতিটি যানবাহন থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। এই অবৈধ সুবিধা আদায় করার জন্যই তারা ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করে প্রর্দশন করে না। অবৈধ চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হলে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, এভাবে চাঁদা আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। পৌর কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব টার্মিনালে গাড়ি রাখলে সেই গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করতে পারবে। টার্মিনালের বাহিরে কোন চাঁদা আদায় করা যাবে না।
পৌর এলাকায় ভাড়ার তালিকা প্রদর্শিত না থাকায় দীর্ঘদিনের বিরাজিত সমস্যার কথা স্বীকার করে চাটখিল পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। চাটখিল পৌরসভার প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান এবং সোনাইমুড়ী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here