আজ- শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১     

 আজ -শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪  | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ | ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬                                                   ভোর ৫:৪৮ - মিনিট |

 

Homeগ্রাম-বাংলাচাটখিলে খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ

চাটখিলে খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ

চাটখিলে খাল খননের কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়ম নিয়ে খননকারী ঠিকাদারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী মুখোমুখী অবস্থানে রয়েছেন। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদার খালের তলদেশ খনন না করে খালের পাড়ের প্রশস্ত বাড়াচ্ছে এতে হুমকিতে রয়েছে বসত বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারি কোটি-কোটি টাকার সড়ক। ঠিকাদার খাল খননের মাটি খাল পাড়ে ফসলি জমি ও সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখছে ফলে এক দিকে খাল খনন হচ্ছে অন্য দিকে আবার খননের মাটি খালে গিয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী, বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় চারটি উপজেলায় ২৮৪ কিলোমিটার খাল পুনঃ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২ কোটি টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাল্লা এলাকার নোয়াপাড়া-বদলকোট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘের রামচন্দ্রপুর খালটির খনন কাজ শুরু হয়েছে। একই সাথে চাটখিলের কাচারি বাজার-কচুয়া বীরেন্দ্র খাল খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় নাথপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও চাটখিল বাজারের ব্যবসায়ী জাবেদ হোসেন রুবেল অভিযোগ করে বলেন, খাল খননের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সরকারী টাকা হরিলুটের মহোৎসব চলছে। তিনি বলেন খালের তলদেশ খনন না করে শুধু খালের দক্ষিন পাশের পাড় শেভ করে মাটি ফসলী জমির উপর রাখছে। খালের তলদেশ খনন না করে প্রশস্ততা বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে খননের মাটি খালপাড়ে রেখে দেওয়ায় সেই মাটি আবার খালে গিয়ে পড়ছে। এর ফলে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই গ্রামের কালু মিয়া (৭০) অভিযোগ করে বলেন, গত দুই বছরের মধ্যে এ খালটি দুইবার খনন করা হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে খাল খননের নামে বার বার একটি মহল সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। স্থানীয় গ্রামবাসী নুর হোসেন দুলাল, মোঃ মহসিন, সুনিল দেবনাথ বলেন, খাল খননের নামে কৃষি জমি ও বসত বাড়ী, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকারি সড়ক ধ্বংস করা বন্ধ না হলে তারা খাল খনন কাজ করতে দেবেন না। যে কোন মূল্যে তারা এ কাজ ঠেকাবেন। এছাড়াও চাটখিল পৌরসভার ১১নং পুল থেকে উত্তর দিকে ফতেরপুর মহল্লার খালটি খননেও ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে খালটির কোথাও কোথাও খনন না করেই কাজ সম্পন্ন করেছে। খাল খননের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরিন ট্রেডার্সের ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নকশা অনুযায়ী তারা খাল খননের কাজ করেছে। এখানে তাদের কোন স্বার্থ নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, জেলার চারটি উপজেলায় জলাবদ্ধতা দূরীকরন প্রকল্পের আওতায় চাটখিলেও খাল খনন কর্মসূচি চলছে। তলদেশ খনন না করে পাড়ের মাটি কাটা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ফাইল দেখে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে। স্থানীয় এলাকাবাসীর ক্ষতি করে খাল খনন কার্যক্রম যাতে চলমান না থাকে সে ব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলবেন। এব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীর ফসলি জমির, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সড়কের ক্ষতি হয় এমন কাজ যাতে না হয় সে বিষয়টি তিনি বিবেচনায় রাখবেন। স্থানীয় লোকজন যদি খাল খনন না চান তাহলে খনন কাজ হবে না।

রিলেটেড আর্টিকেল

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ

রিসেন্ট কমেন্টস